তথ্য ফাঁস বাড়ছে এআই প্রযুক্তি ব্যবহারে
বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে এ আই তথা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহারে প্রযুক্তি প্রেমীদের আগ্রহের কমতি নেই। সম্প্রতি, এ আই প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে পূর্বের অনেক জটিল কাজ সহজেই সম্পন্ন করছেন প্রযুক্তি প্রেমীরা যেমন-চ্যাট জিপিটি, ইমেজ ক্রিয়েটর, এ আই প্রযুক্তির মাধ্যমে আর্টিস্ট ক্রিয়েটর, মুভি ক্রিয়েটর, বিজ্ঞাপন ক্রিয়েটর ইত্যাদি। প্রযুক্তিবিদগণের প্রত্যাশা, ভবিষ্যতে এ এআই প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষের জীবন যাত্রাকে একপর্যায়ে সহজ করে তুলবে। তবে, এ এআই প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা না হলে এটি একপর্যায়ে অপরাধীচক্রের হাতিয়ার হিসেবে পরিগণিত হওয়ার আশঙ্খা দেখা দিতে পারে। প্রিয় পাঠক, আমরা আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে তথ্য ফাঁস বাড়ছে এ আই প্রযুক্তি ব্যবহারে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।
পোস্ট সূচিপত্রঃ সভ্যতার পরিবর্তনের সাথে সাথে দিনে দিনে প্রযুক্তি খাতেও ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হচ্ছে। এক জরীপে দেখা গেছে, যে দেশ প্রযুক্তি খাতে যত উন্নত, সে দেশ অর্থনীতিতে দ্রুতই উন্নতির শিখরে পৌঁছে যাচ্ছে। তবে, প্রযুক্তির যথাযোগ্য প্রয়োগের ক্ষেত্রে আমাদেরকে অবশ্যই এর ব্যবহার সম্পর্কে সজাগ থাকা একান্ত জরুরী।
আরও পড়ুনঃ দাঁতের অস্ত্রোপচারে রোবট
অপরাধীচক্রের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ডিপফেইক প্রযুক্তি ব্যবহারে পলিসি
সম্প্রতি, প্রযুক্তি গবেষকদের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে যে, অপরাধীচক্ররা গ্রাহকের তথ্য-উপাত্ত চুরির ক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ডিপফেইক প্রযুক্তি ব্যবহারে নতুন পলিসি খুঁজছে। যার কারণে এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে জালিয়াতি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়ে আসছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সিফাস'র সদস্যরা। অর্থাৎ, এআই প্রযুক্তি'র মাধ্যমে অপরাধচক্র সাধারণ গ্রাহকের গোপন আইডি হ্যাক করে তথ্য চুরির ঘটনা ছাড়াও নানাবিদ কার্যকলাপ প্রতিনিয়তই বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে এমনটিই ধারণা করছে পরিষেবা সংশ্লিষ্ট সেবা সংস্থাটি। অপরাধচক্রের জালিয়াত কার্যকলাপের মধ্যে রয়েছে ডিপফেইক ছবি, গ্রাহকের তথ্য-উপাত্ত চুরি, ফিশিং জালিয়াতি, ফ্যাক অডিও-ভিডিও তৈরির মতো ঘটনা।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক পরিষেবা সিফাস'র সদস্যদের গবেষনালুব্দ প্রতিবেদন
যুক্তরাজ্যভিত্তিক পরিষেবা সিফাস'র সদস্যদের এআই প্রযুক্তিতে জালিয়াতিবিষয়ক গবেষনালুব্দ প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর সামগ্রিকভাবে সিফাসের এনএফডি অর্থাৎ ন্যাশনাল ফ্রড ডেটাবেইজ-এ জালিয়াতির অভিযোগ এসছে আনুমানিক তিন লাখ চুয়াত্তর হাজারের মতো। সিফাস দাবী করে, তাদের সদস্যরা ২ শত ২৪ কোটি ডলারের জালিয়াতি রোধ করেছে।
সিফাস জানিয়েছে, জীবনমান খরচ বৃদ্ধির চাপ সামাল দিতে অপরাধীচক্ররা নিজেদের সোশাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দক্ষতা বৃদ্ধি করেছে। সাধারণত, এক্ষেত্রে গ্রাহকদের গোপনীয় তথ্য-উপাত্ত ও পরিচয় চুরির জন্য অপরাধীদের মূল লক্ষ্যবস্তু হয়ে থাকে বিভিন্ন প্রাইভেট ব্যাংক অ্যাকাউন্ট।
আরও পড়ুনঃ হ্যাকার থেকে মোবাইল ফোন রক্ষার টিপস
এতদবিষয়ে, সিফাস'র সিইও মাইক হেইলি জানান, গ্রাহকদেরকে শিকার বানাতে বিভিন্ন নতুন ও যুগান্তকারী কৌশল খুঁজে বেড়াচ্ছে অপরাধীচক্ররা। উদাহরণস্বরূপ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, এআই ও ডিপফেইক প্রযুক্তি। ডেটা শেয়ারিং ও জালিয়াতি ঠেকানোর মতো বুদ্ধিমত্তা ও টেকসই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে আমরা এইরূপ ঘটনা প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারি।
প্রিয় পাঠক, আমরা আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে তথ্য ফাঁস বাড়ছে এআই প্রযুক্তি ব্যবহারে সে সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেলাম। আজকের এই আর্টিকেলটির প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে সময় দেয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আলোকবর্ষ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুণ। প্রীতিটি কমেন্ট রিভিও করা হয়।
comment url