অতিরিক্ত ব্রাইটনেস স্মার্টফোন ও চোখের ক্ষতির কারণ
বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই স্মার্টফোন ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কিছু ক্ষতিকারক দিক রয়েছে যা আমাদের জেনে রাখা উচিত। আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা অতিরিক্ত ব্রাইটনেস স্মার্টফোনের ক্ষতির কারণ সম্পর্কে আপনাদের কিছুটা হলেও ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করবো।
স্মার্ট অ্যান্ড্রয়েড ফোন চালুর শুরু থেকে এর নানা রকম বৈচিত্র প্রকাশ পেয়েছে। বৈচিত্রের দিক থেকে বিভিন্ন প্রকার ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এই স্মার্টফোনগুলোর নানাবিধ ফিচার নিয়ে বাজারে লঞ্চ হয়। স্মার্টফোনের নানাবিধ ফিচার এর মধ্যে অন্যতম হলো মোবাইলের অতিরিক্ত ব্রাইটনেস বা উজ্জ্বলতা নিয়ন্ত্রণের উপায়। স্মার্টফোন ব্যবহারকারী সকলেই এই অপশনটির মাধ্যমে মোবাইলের অতিরিক্ত ব্রাইটনেস বা উজ্জ্বলতা বাড়াতে অথবা কমাতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ হ্যাকার থেকে মোবাইল ফোন রক্ষার টিপস
চোখ আমাদের অমূল্য সম্পদ। স্মার্টফোনের মাত্রাতিরিক্ত ব্রাইটনেস অনেক সময় আমাদের চোখের ক্ষতি করে থাকে। আবার অন্যদিকে মোবাইলের স্ক্রিনের ব্রাইটনেস কম থাকলেও চোখের ক্ষতি। আধুনিক স্মার্টযোগে আন্তর্জাতিক মার্কেটে বিভিন্ন প্রকার স্মার্টফোন পাওয়া যাচ্ছে। একেক স্মার্টফোন একেক রকম ফিচার নিয়ে মার্কেটে আবির্ভাব হয়। আপনি হয়তো জানেন না, শুধুমাত্র স্মার্ট গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করার জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন প্রকার মোবাইল কোম্পানি প্রায় ছয় হাজার নিটস পর্যন্ত উজ্জ্বলতা প্রদান করে থাকে। আপনার স্মার্ট মোবাইল ফোনটির ব্রাইটনেস ম্যানুয়ালি কমানো ও বাড়ানোর ক্ষেত্রে অনেক সময় বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। এক্ষেত্রে যদি আপনার মোবাইলে এডাপটিভ অন ও অফ অপশন অথবা অটো ব্রাইটনেস অপশনটি থাকে তাহলে আপনাকে আর ম্যানুয়ালি কমানো ও বাড়ানোর প্রয়োজন হবে না। অটো ব্রাইটনেস বা এডাপটিভ ব্রাইটনেস অপশনটি আপনার মোবাইলে থাকলে মোবাইলের স্ক্রিনের ব্রাইটনেস আলোর অবস্থান ভেদে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কমবে ও বাড়বে। বর্তমান স্মার্টফোনের যুগে প্রায় মোবাইলেই এডাপটিভ ব্রাইটনেস অথবা অটো ব্রাইটনেস অপশনটি অপারেটিং সিস্টেমে দেওয়া থাকে। এতে করে এই সুবিধার কারণে মোবাইলের অতিরিক্ত ব্রাইটনেস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়।
আরও পড়ুনঃ মোবাইল স্ক্যানার সম্পর্কে জানুন!!!
অতিরিক্ত ব্রাইটনেস মোবাইলের অনেকাংশে ক্ষতির কারণ। অতিরিক্ত ব্রাইটনেস মোবাইলে বাড়ানো হলে আপনার স্মার্টফোনের চার্জ যেমন দ্রুত শেষ হয়, তেমনি ব্যাটারির লংজিভিটিও শেষ হতে থাকে। অতিরিক্ত ব্রাইটনেস চালু রাখার কারণে ব্যাটারিও দ্রুত গরম হতে থাকে। আর অতিমাত্রায় ব্যাটারি গরম হতে থাকলে ব্যাটারি ফুলে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে, আপনার স্মার্টফোন যদি সুরক্ষিত রাখতে চান এবং চোখের ক্ষতি এড়াতে চান, তবে আপনার স্মার্টফোনে এডাপটিভ ব্রাইটনেস অথবা অটো ব্রাইটনেস অপশনটি যদি থেকে থাকে তাহলে অপশনটি চালু রাখুন। এতে করে আপনার মোবাইল ভালো থাকার পাশাপাশি আপনার চোখটাও ভালো থাকবে আশা করা যায়। চিকিৎসকদের মতে, দীর্ঘদিন স্মার্টফোনে অতিরিক্ত ব্রাইটনেস ব্যবহারের কারণে চোখ ব্যথা হওয়াসহ চোখ দিয়ে পানি পড়ার মতো নানাবিধ সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই, আপনার অতিমূল্যবান চোখকে ভালো রাখতে হলে স্মার্টফোনের অতিরিক্ত ব্রাইটনেস অপশনটি ম্যানুয়ালি কমানো ও বাড়ানো ব্যতীত অ্যাডাপটিভ ব্রাইটনেস অথবা অটো ব্রাইটনেস অপশনটি চালু রেখে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কমানো ও বাড়ানো উচিত।
অতিরিক্ত ব্রাইটনেস যেমন মোবাইলের ক্ষতির কারণ, তেমনি আপনার স্মার্টফোনের ব্যাটারিরও ক্ষতির কারণ। দীর্ঘসময় মোবাইলে অতিরিক্ত ব্রাইটনেস দিয়ে ব্যবহার করলে ব্যাটারি যেমন গরম হওয়ার উপদ্রব হয়ে থাকে, তেমনি ব্যাটারির আয়ুষ্কালও ধীরে ধীরে কমে যেতে থাকে। অনেক সময় দীর্ঘ সময় ধরে স্মার্টফোনে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস চালু রাখলে বা অ্যান্ড্রয়েড গেমস খেললেও আপনার ব্যাটারীর উপড়ে চাপ পড়ে এমনকি মোবাইলও ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।
প্রিয় পাঠক, আমরা আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে অতিরিক্ত ব্রাইটনেস স্মার্টফোন ও চোখের ক্ষতির কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানলাম। আজকের এই আর্টিকেলটির প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে সময় দেয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভবিষ্যতে এমনই কিছু আর্টিকেল নিয়ে আপনাদের সামনে আবারো হাজির হবো। আজকের জন্য বিদায়।
আলোকবর্ষ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুণ। প্রীতিটি কমেন্ট রিভিও করা হয়।
comment url