প্রযুক্তির যুগে উড়ন্ত গাড়ি সম্পর্কে জানুন!!!
একবিংশ শতাব্দীতে বিশ্বের প্রযুক্তি খাতের যে আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়েছে তারই অংশ হিসেবে বিমান উড্ডয়নের পাশাপাশি সড়কে যান্ত্রিক চালিত স্মার্ট পরিবহনের মধ্যেও এমনটি পরিলক্ষিত হচ্ছে। এবার অ্যাভিয়েশন ল ফার্ম অ্যারো ল সেন্টার অনুযায়ী, মার্কিন সংস্থা ‘আলেফ অ্যারোনেটিক্স’-এর তৈরি একটি বৈদ্যুতিক উড়ন্ত যানবাহনকে ছাড়পত্র দিল যা সড়কপথে চলাচলের পাশাপাশি বিমানের মতোই আকাশে উড়তে এবং অবতরণ করতে সক্ষম। আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে প্রযুক্তি যুগে উড়ন্ত গাড়ি সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জানার চেষ্টা করব।
প্রযুক্তির যুগে উড়ন্ত গাড়ি সম্পর্কে জানুন!!!
উন্নত বিশ্বে এই প্রথম উড়ন্ত গাড়ির অনুমোদন দিলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। একসময় যা ছিল কল্পনাতীত। এবার স্বচক্ষে মুভি দুনিয়ার মত খালি চোখেও বাস্তবে এমনটি দেখার সৌভাগ্য হবে সকলের। আপনি ইচ্ছা করলে সেই জানবাহনে চড়ে মুহূর্তেই এক স্থান হতে অন্য স্থানে দ্রুত পৌঁছে যাবেন নিমিষেই। জানা যায়, উদ্ভাবনকৃত গাড়িটির মূল্য আনুমানিক তিন লাখ মার্কিন ডলার।
ধারণা করা হচ্ছে যে, আনুমানিক ২০২৫ সাল নাগাদ এটি বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হতে পারে। ইতোপূর্বে, আলেফের প্রস্তুতকৃত গাড়িটি ২০২২ সালে আত্মপ্রকাশ করায় বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। বিদ্যুতের মাধ্যমে চালিত এই গাড়িটি একবার চার্জ দিলে আকাশপথে ১৭৭ কিলোমিটার পর্যন্ত এবং সড়কপথে ৩২২ কিলোমিটার যেতে সক্ষম। অনুমতি থাকলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে যে, প্রস্তুতকারী সংস্থা আলেফ-কে উড়ন্ত গাড়ির লোকেশন এবং ব্যবহারের উদ্দেশ্য সীমিত রাখতে হবে। ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক আলেফ অ্যারোনটিক্স সংস্থার দাবি, এই গাড়ি একশতভাগ বৈদ্যুতিক গাড়ি। এটি একসঙ্গে দুই জন মানুষকে সঙ্গে নিয়ে চলতে পারে একটি ইলেকট্রিক গাড়ি, যা বিমানের মতোই টেক অফ ও অবতরণে সক্ষম বলে সংস্থাটি দাবি করে। ধারণা করা হয় এই গাড়ির দরুন সড়ক দুর্ঘটনা অনেকাংশে হ্রাস পেতে পারে এবং ট্রাফিক জ্যাম থেকে সহজেই পরিত্রাণ পাওয়া যাবে
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে যে, কোম্পানিটির উড়ন্ত গাড়ি ওড়ার জন্য ইউএস ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফএএ) থেকে বিশেষ সনদ পেয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই প্রথম কোনো উড়ন্ত গাড়ি যা বিমানের নেয় উড্ডয়নের যথাযথ আইনি অনুমোদন পেল।
আলেফ অ্যারোনটিকস সংস্থাটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গাড়িটির বৈদ্যুতিক উড্ডয়ন ও অবতরণের বিভিন্ন কৌশল নিয়ে এফএএ সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এফএএর কাছ থেকে পাওয়া বিশেষ সনদে উড়ন্ত গাড়ির ওড়ার স্থান ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
গত ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে, ব্যক্তি ও কর্পোরেট পর্যায়ের গ্রাহকদের কাছ থেকে ইতোমধ্যে তারা ৪৪০টির বেশি গাড়ির আগাম অর্ডার পেয়েছে।
যদিও বর্তমানে এই আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন গাড়িটির ক্রয় অথবা বিক্রয়যোগ্য মডেলের নির্মাণ এখনো শুরু হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে যে, আনুমানিক ২০২৫ সাল হতে এই বৈদ্যুতিক প্রযুক্তির গাড়িটি আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রয় অথবা বিক্রয়ের কার্যক্রম শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রিয় পাঠক, আমরা আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে প্রযুক্তির যুগে উড়ন্ত গাড়ি সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান আহরণ করলাম। আজকের এই প্রযুক্তিগত আর্টিকেলটির প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আলোকবর্ষ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুণ। প্রীতিটি কমেন্ট রিভিও করা হয়।
comment url