OrdinaryITPostAd

হাসির স্কুল - কি তা জানুন

বর্তমান বিশ্বে দীর্ঘ দিন বৈশ্বিক করোনা মহামারীর প্রাদুর্ভাবের কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরনের স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সহ সামাজিক সুরক্ষা, ব্যক্তি সুরক্ষা, প্রতিনিয়তই নিরাপদ থাকার জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজেশন, মাস্ক পরিধান ইত্যাদি বিষয়ের উপর সব সময় দৃষ্টি রাখতে হত। মানুষের মধ্যে চারিদিকে একটি আতঙ্ক বিরাজ করত। মাস্ক পরিধান করা একদিকে যেমন ব্যক্তি সুরক্ষার ক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরী আবার এটি সার্বক্ষণিক ব্যবহারের ফলে আমাদের মধ্যে হাসির প্রবণতা দিন দিন কমে যাচ্ছে। তাই এই থেকে নিস্তার পেতে পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোর মধ্যে জাপান একটি বাস্তবমুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তার নাম হলো ''হাসির স্কুল''। তাই আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা জানতে পারবো কিভাবে জাপানিরা হাসির স্কুলের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে হাসির প্রবণতা ফিরিয়ে আনতে সফল হয়েছে তার যুগান্তকারী কিছু পদক্ষেপ সম্পর্কে। চলুন জেনে নেই কিভাবে হাসির স্কুলের মাধ্যমে মানুষের হাসির প্রবণতা ফিরিয়ে আনা যায়।
এশিয়া মহাদেশের উন্নত দেশগুলোর মধ্যে জাপান হলো প্রযুক্তি সমৃদ্ধ উন্নত দেশ। আমরা জানি, জাপানিরা পরিশ্রমী জাতি। টেকনোলজির ক্ষেত্রে এখনো বিশ্ব পরিমণ্ডলে জাপান এগিয়ে রয়েছে। নতুন নতুন কিছু উদ্ভাবনের জন্য জাপানিরা প্রায় সময় গবেষণায় ব্যস্ত সময় পার করছে। তাই, বৈশ্বিক মহামারীর কারণে মানুষ তার হাসির প্রবণতায় যে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে তার কিছুটা স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে জাপানিদের একটি বিশেষ উদ্যোগ হল ''হাসির স্কুল''। বাস্তবতা হলো করোনার বৈশ্বিক মহামারীর কারণে পৃথিবীর মানুষের ২-৩ বছর সময় জীবন থেকে চলে গেছে যা কখনোই ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। প্রতিনিয়তই জাপানিরা মুখে মাস্ক পরিধানের কারণে প্রায় হাসতে ভুলে গেছেন। হারিয়ে যাওয়া মুখের সুন্দর হাসি ফিরিয়ে আনতে জাপানিরা বিশেষ স্কুল হিসেবে হাসির স্কুল খুলেছেন। বিশেষ এই হাসির স্কুলে গিয়ে তারা প্রাণ খুলে হাসার জন্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। বাচ্চাদের মতো বিভিন্ন প্রকার অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমেও প্রশিক্ষকবৃন্দ প্রশিক্ষনার্থীদেরকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। 
সম্প্রতি 'হাসতে শেখো' নামে জাপানিরা নতুন এক উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। সম্প্রতি জাপানের শখেই আর্ট স্কুলের একটি ভিডিও প্রচুর পরিমাণে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।করোনার প্রাদুর্ভাব কমার পর থেকেই জাপানের রাজধানী টোকিওতে এমন প্রকৃতির বেশ কয়েকটি হাসি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করে উঠেছে। এমন প্রশিক্ষকবৃন্দের মধ্যে কেইকো কাওয়ানোর উদ্যোগে জাপানের smile education নামের ব্যক্তিগত ট্রেনিং সেন্টারটির নাম বহুল আলোচিত। তিনি একজন সাবেক রেডিও উপস্থাপক। জানা যায়, কেইকো এক ঘন্টার এক সেশন প্রতি প্রশিক্ষণার্থীদের নিকট হতে পারিশ্রমিক হিসেবে প্রায় ৫৫ ডলার করে নেন।কেইকোর হাসি শেখানোর ধরণটি খুবই মজার হওয়ার কারণে বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে। প্রথমত, তিনি শিক্ষার্থীদের সামনে আয়না ধরেন এবং মুখমণ্ডলের যে অংশে হাসির পেশিগুলো রয়েছে সেগুলোর উপর আঙ্গুল দিয়ে চাপ প্রয়োগ করে তিনি হাসি দেয়ার নিয়ম-কানুন সম্পর্কে শিক্ষা দেন।

প্রিয় পাঠক, আমরা আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে হাসির প্রবণতা সৃষ্টিতে হাসির স্কুল সম্পর্কে বিস্তারিত জানলাম। আজকের এই সামাজিক সচেতনতামূলক আর্টিকেলটির প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আলোকবর্ষ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুণ। প্রীতিটি কমেন্ট রিভিও করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪