OrdinaryITPostAd

ফ্যাটি লিভার নীরব মহামারী - সম্পর্কে জানুন

মানবদেহের কাঠামোর একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হোল লিভার বা যকৃত। শরীরের অন্যান্য অঙ্গের পাশাপাশি এই অঙ্গটির যত্ন নেয়া ও গুরুত্বারোপ করা একান্ত জরুরি। আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হার্ট, কিডনি, পাকস্থলী ইত্যাদি অঙ্গ নষ্ট হলে আমরা যেমন হতাশ হয়ে পড়ি তেমনি লিভার এর কোনপ্রকার ত্রুটি-বিচ্যুতি হলেও জীবনের জন্য ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। চলুন জেনে নেই, ফ্যাটি লিভার কি, ফ্যাটি লিভার হওয়ার কারণ ও তা থেকে বেঁচে থাকার উপায় সম্পর্কে আজকের এই জনসচেতনতামূলক পোস্ট থেকে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ 

ফ্যাটি লিভার - কি

ফ্যাটি লিভার রোগটি বর্তমানে মানবদেহে জটিল রোগ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। সাধারণত আমাদের যকৃতে চর্বির আধিক্য দেখা দিলে এর কাঠামোগত পরিবর্তন দেখা দেয়, তখনি মূলত আমরা ফ্যাটি লিভার নামক জটিল রোগে আক্রান্ত হই। চিকিৎসা বিজ্ঞানে নন- অ্যালকোহলিক সটীয়াটো হেপাটাইটিস বিশ্বে এখন নীরব মহামারী হিসেবে পরিচিত।

ফ্যাটি লিভার হওয়ার কারণ

মানবদেহের যকৃতের নির্দিষ্ট ওজনের চাইতে ৫-১০ ভাগ ফ্যাট বা চর্বি জমা হলে এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হয়। লিভারের সকল কোষের মধ্যে পাঁচ শতাংশ বেশি কোষের মধ্যে চর্বি জমা হলে সাধারণত ফ্যাটি লিভার ডিজিজ বলা হয়ে থাকে। বর্তমানে প্রায় বিভিন্ন দেশে ২৭ থেকে ৩৮ শতাংশ অথবা গড়ে বিশ শতাংশ পর্যন্ত ফ্যাটি লিভার ডিজিজ হতে পারে।

ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে ফ্যাটি লিভার ডিজিজ এর আশঙ্কা বহুগুনে বৃদ্ধি পায়। অনিয়ন্ত্রিত শর্করা ও চর্বির অস্বাভাবিক বৃদ্ধি এর প্রধান কারণ। রক্তে গ্লোকোজ ও ফ্যাটি এসিড শরীরের বিভিন্ন কোষে জমতে থাকার কারণেও এই রোগের ঝুঁকি বাড়িতে থাকে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে খাবারের আইটেমে চর্বি ও শর্করা জাতীয় খাবার পরিহার করা উচিত। দিন দিন যেমন ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে তার সাথে ফ্যাটি লিভার ডিজিজ এর আক্রান্ত রোগীও বাড়ছে। আবার ফ্যাটি লিভার-এ আক্রান্ত রোগীদেরও ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি থেকে থাকে। এক গবেষণায় দেখা যায়, ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত রোগীদের অগ্নাশয় ছোট হয়ে আসার দরুন টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। লিভারে পাঁচ শতাংশ চর্বির আধিক্য থাকলে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি ২৭ গুন বেড়ে যায়।

ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ ও প্রতিকারের উপায়

শুরুতে ফ্যাটি লিভারে কোন প্রকার ফাইব্রোসিস থাকে না। যথাযথ চিকিৎসা না করলে লিভারে প্রদাহ দেখা দেয় এবং পরবর্তীতে ফাইব্রোসিস দেখা দিতে পারে প্রদান না হওয়া সত্ত্বেও সরাসরি ফ্যাটি লিভার থেকে লিভার ক্যান্সারে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই আমাদের স্বাভাবিকভাবে ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হলে অবহেলা না করে চিকিৎসা করাটাই শ্রেয়। ফ্যাটি লিভারের সাধারণ ক্ষেত্রে বড় কোন লক্ষণ থাকে না। নরমালি একটি আল্ট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে এই রোগ সহজেই সনাক্ত করা সম্ভব হয়। এই রোগের লক্ষণের মধ্যে যেমন-পেট ব্যথা, দুর্বল লাগা ইত্যাদি রয়েছে। সময়মত সঠিক চিকিৎসা নিলে এই রোগ থেকে কিছুটা হলেও নিস্তার পেতে পারি। তাই আমাদের পরিমিত খাওয়ার অভ্যাস করা সহ সর্বক্ষেত্রে তেল, চর্বি জাতীয় খাদ্য পরিহার করা উচিত। প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাকসবজি খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। প্রতিদিন নিয়মিত অন্তত আধা ঘন্টা করে হাঁটার অভ্যাস তৈরি করতে হবে।

প্রিয় পাঠক, আমরা আজকের এই জনসচেতনতামূলক পোস্টটির মাধ্যমে ফ্যাটি লিভার কি? ফ্যাটি লিভার হওয়ার কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকারের উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেলাম। আজকের এই আর্টিকেলটির প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আলোকবর্ষ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুণ। প্রীতিটি কমেন্ট রিভিও করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪