''প্রচন্ড গরমে জ্বর হলে করণীয় কি ?'' তা জানুন!!!
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে গ্রীষ্মকালে গরমের তীব্রতা ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারের গ্রীষ্মকালের গরম ভয়ংকর রূপ নিয়েছে। গরমে জনজীবন প্রায় অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। অতিমাত্রায় গরমের প্রভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় শরীরে ঘাম বসে জ্বর-সর্দিসহ নানাবিদ ভাইরাসজনিত সংক্রমণ রোগে শিশু সহ প্রাপ্তবয়স্করাও আক্রান্ত হচ্ছেন। কখনো গরম আবার কখনো ঠান্ডা এমন আবহাওয়াই চারিদিকে সর্বত্রই বিরাজ করছে। আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে গ্রীষ্মকালে প্রচন্ড গরমে জ্বর হলে আমাদের করণীয় কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।
''প্রচন্ড গরমে জ্বর হলে করণীয় কি ?'' তা জানুন!!!
বর্তমানে অনিয়মতান্ত্রিক আবহাওয়ার মধ্যে আমরা ভোর বেলায় প্রায়শই ঘুম থেকে উঠলে দেখতে পাই হালকা রোদের প্রকৃতি, তখন মনটা ভালো হয়ে যায়। কিন্তু বেলা বাঁড়ার সাথে সাথে প্রকৃতিতে বইতে থাকে প্রখর রোদ। তার সঙ্গে বইতে থাকে লু বায়ু প্রবাহ বা লু হাওয়া। এই লু বায়ুপ্রবাহ সাধারণত পশ্চিম দিক থেকে প্রবাহিত একটি শক্তিশালী ধুলাবালিযুক্ত গরম বাতাস যা মে-জুন মাসে এর প্রভাব বেশি পড়ে। এই লু আবহাওয়ার দরুন আমরা ভাইরাসজনিত নানা প্রকার রোগে আক্রান্ত হচ্ছি এবং অসুস্থ হয়ে পড়ছি। যার কারণে প্রায় অনেকের মধ্যে জ্বর হওয়ার প্রবণতা দেখা দিয়েছে। প্রতি ঘরে ঘরে হানা দিয়েছে ভাইরাস জ্বর। এই সময় আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের বিশেষ করে জ্বরে কাবু হতে দেখা যায় বেশি। এ ধরনের ভাইরাস জ্বর হলে সর্দি-কাশির সাথে সাথে গায়ে ও হাতে-পায়ে প্রচন্ড ব্যথা অনুভূত হয়ে থাকে।
প্রচন্ড গরমে ভাইরাস জ্বর হতে রক্ষা পাওয়ার উপায়ঃ
১) এমন প্রকৃতির জ্বর থেকে রক্ষা পেতে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা একান্ত দরকার। তাই এক্ষেত্রে শরীরের ইমিউনিটি পাওয়ার বৃদ্ধির জন্য প্রতিদিন সকালে খালি পেটে দুই কোয়া কাঁচা রসুন আর কাঁচা আদা চিবিয়ে খেতে পারেন। এ দুটি জিনিসেরই অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল রয়েছে যা ইমিউনিটি পাওয়ার বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। যার কারণে সহসায় জ্বর স্পর্শ করতে পারে না। এছাড়াও আদা শরীরের রক্ত সঞ্চালন ক্ষমতা বাড়ায় আর কোলেস্টেরলের পরিমাণও নিয়ন্ত্রণ করে।
২) তীব্র গরমে আমাদেরকে অবশ্যই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা উচিত। পরিবারের কেউ যদি জ্বরে আক্রান্ত হন তাহলে তাকে স্পর্শ করার পর অবশ্যই জীবাণুনাশক হেন্ড স্যানিটাইজার অথবা সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে।
৩) হঠাৎ আপনি বাহির থেকে আসার পরপরই জামা কাপড় পরিহিত অবস্থায় তৎক্ষণাৎ বিছানায় গিয়ে বসবেন না। জামা কাপড় ছেড়ে হাত-মুখ ধুয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে তারপরই খাটে বসুন।
৪) এই গরমে ভাইরাস জ্বরের অন্যতম প্রধান কারণ হলো ডিহাইড্রেশন। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেলে ডিহাইড্রেশন অনেকটাই কমে যেতে পারে। তাই এই গরমে বেশি বেশি পানি পান করুন। তাই ঘর থেকে বাহির হলে সঙ্গে পানির বোতল নিয়ে বের হন।
৫) এই গরমে আপনার ভাইরাস জ্বর হলে কাশির সময় অবশ্যই হাত চাপা দিতে ধরুন, কারণ হাঁচি বা কাশির মাধ্যমে এই ভাইরাসজনিত জ্বর অন্যের শরীরে সহজেই প্রবেশ করতে পারে।
৬) গ্রীষ্মকালীন তীব্র গরমে ঘর থেকে বাহির হলে বাহিরের জিনিস খাবারের আগে সাবান বা জীবাণুনাশক হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এতে করে ভাইরাসজনিত এই জ্বর থেকে আপনি কিছুটা হলেও পরিত্রাণ পেতে পারেন। এছাড়াও ঘরের বাহিরে বের হওয়ার সময় হালকা জামা কাপড় পড়ুন। রোদের তীব্রতা থেকে বাঁচার জন্য সঙ্গে ছাতা রাখুন। বিশেষ কোনো প্রয়োজন না থাকলে ঘর থেকে বের হওয়া থেকে বিরত থাকুন। হঠাৎ রোদ থেকে ঘরে এসেই ঠান্ডা পানি পান করবেন না বা এসির ঠান্ডা বাতাসে বসবেন না। তাৎক্ষণিক প্রশান্তি পরবর্তীতে অশান্তির কারণ না হয়ে দাঁড়ায় সেদিকে খেয়াল রেখে চললে তবেই এসব ভাইরাস জ্বর থেকে আমরা পরিত্রাণ পেতে পারি।
প্রিয় পাঠক, আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে গ্রীষ্মকালে প্রচন্ড গরমে জ্বর হলে আমাদের করণীয় কি এবং এ থেকে পরিত্রাণের উপায় কি তার সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেলাম। আজকের আর্টিকেলটির প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
আলোকবর্ষ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুণ। প্রীতিটি কমেন্ট রিভিও করা হয়।
comment url