চা উৎপাদনে নতুন চমক লালমাই পাহাড়
ঐতিহাসিক কুমিল্লার পলি মাটির পাহাড় লালমাই। শুপ্রাচীনকাল থেকে এই পাহাড়ের ঐতিহ্য রয়েছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা এই পাহাড়টি অনেক প্রজাতির লতা গুল্লোম, ঔষধি গাছ তথা নানাবিধ উর্বরতায় সমৃদ্ধ। এই পাহাড়টি পর্যটন স্পট হওয়ায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এখানে মানুষ ছুটে আসে।এখানকার মনোরম পরিবেশ ভ্রমণ পিপাসু মানুষকে বিশেষভাবে আকৃষ্ট। সম্প্রতি একটি বিষয়ে উঠে এসেছে যে, এই লালমাই পাহাড়টিতে চা উৎপাদনে সিলেটের ন্যায় নতুন চমক সৃষ্টি করেছে। আমরা সাধারণত জানি চা উৎপাদনের জন্য অনুকূল মাটি ও পরিবেশ হচ্ছে পাহাড়ি অঞ্চল। তারই ধারাবাহিকতায় কুমিল্লার লালমাই পাহাড়টি চা উৎপাদনে সম্প্রতি নতুন চমক সৃষ্টি করেছে। আমরা আজকের এ আর্টিকেলটির মাধ্যমে চা উৎপাদনে নতুন চমক লালমাই পাহাড় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবো। চলুন জেনে নেই যা উৎপাদনে কুমিল্লার লালমাই পাহাড়টির রহস্য।
সম্প্রতি কুমিল্লার লালমাই পাহাড় চা উৎপাদনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। চায়ের অঞ্চল সিলেটের সাদৃশ্যে লালমাই পাহাড়েও চা বাগান সৌন্দর্য বর্ধন ও উৎপাদনে সারাদেশে অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছে। সিলেটের আদলে করা চা বাগান দেখতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থীদের পাহাড়ের বড় ধর্মপুরে ঢল নেমেছে। জানা যায়, সিলেটের খাসিয়া সম্প্রদায়ের এক চৌকস দলের সহযোগিতায় প্রথমে এক একর জমিতে চা গাছ উৎপন্ন করা হয়। কেহ এমনটি চিন্তাও করেন নাই যে, লালমাই পাহাড়ের মাটিতে চা এর সবুজায়ন হবে। প্রত্যাশার চেয়ে ফলন ভালো হওয়ায় পর্যায়ক্রমে ১০ একর জুড়ে চা চাষ করা হয়। জানা গেছে, কুমিল্লার সদর দক্ষিণের লালমাই পাহাড়ে বড় ধরনের বড় ধর্মপুরের এক তরুণ উদ্যোক্তা তরিকুল ইসলাম মজুমদার সখের বসে চা উৎপাদন শুরু করেছিলেন। ভালো ফলন হওয়ায় আরো উজ্জীবিত হন তিনি। পরবর্তীতে কৃষি কর্মকর্তারা এই এলাকাটি বেশ কয়েকবার পরিদর্শন করএন। এখানে বৃষ্টির পরিমাণ কম, তবে বৃষ্টি বেশি হলে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট কৃষি কর্মকর্তাগন।
আরও পড়ুনঃ কোন সময়ের রোদে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়
উদ্যোক্তা তরিকুল ইসলাম মজুমদার জানান, ২০২১ সালের মার্চের এক একর জমিতে প্রথমে তিন হাজার এবং পরে জুন জুলাই মাসে আরো ৩০০০ চা গাছ রোপন করা হয়। পরবর্তীতে ফলন ভালো হওয়ায় বাগানটি আরও দশ একর বৃদ্ধি করা হয়। বৃষ্টি কম হওয়ায় চা বাগানে শেচের ব্যবস্থা করা হয়। তিনি বলেন, বিটি-২ যাতের চা গাছ রোপন করা হয়েছে। বর্তমানে এর রং ও স্বাদ অতুলনীয়। তরিকুল জানান, তিনি এ এলাকায় চা পাতার প্রক্রিয়া করতে কারখানা ঊর্ধ্ব গ্রহণ করেছেন। তাকে দেখে অনেকেই অনুপ্রাণিত হন। বাংলাদেশ চা উন্নয়ন বোর্ড এ অঞ্চলে চা চাষ করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান।
বড় ধর্মপুরে যাওয়ার পর দেখা যায়, লালমাই পাহাড়ের ঝাকে ঝাকে সবুজ চা বাগান গড়ে উঠেছে। যা দেখে মনে হয় সিলেটের ন্যায় লালমাই পাহাড়টি যেন এক টুকরো সিলেট। তাই আমরা ধরে নিতে পারি চা উৎপাদনের ক্ষেত্রে এটি একটি মাইলফলক।
প্রিয় পাঠক আমরা আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে চা উৎপাদনে নতুন চমক কুমিল্লার অদূরে অবস্থিত লালমাই পাহাড় সম্পর্কে ধারণা পেলাম। তাই, আজকের এই আর্টিকেলটির প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আলোকবর্ষ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুণ। প্রীতিটি কমেন্ট রিভিও করা হয়।
comment url