উদ্ভিদ বীজ - বাঁশএর উপকারিতা জানুন
প্রিয় পাঠক, উদ্ভিদ বীজ বাঁশ'র উপকারিতা জানুন আজকের এই কনটেন্টটির মাধ্যমে। অতী প্রাচীন কাল থেকে বর্তমানেও গ্রামাঞ্চলে অথবা বনজঙ্গলে বেড়ে উঠা অত্যন্ত উপকারী একটি উদ্ভিদ বীজ হচ্ছে সবুজ বাঁশ। আজকের কনটেন্টটির মাধ্যমে আপনি বনজ বৃক্ষ বাঁশের উপকারিতা সম্পর্কে অনেকাংশে জেনে নিতে পারবেন। আসুন জেনে নেই মানুষের দৈনন্দিন জীবনে বাঁশের উপকারিতার রহস্য।
নিজস্ব সংগৃহীতঃ প্রতীকী ছবি
পোস্ট সূচিপত্রঃ আমরা জানি, ১৮ সেপ্টেম্বর বিশ্ব বাঁশ দিবস হিসেবে পালিত হয়। মানুষের মাঝে বাঁশ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে এবং বাঁশ শিল্পের প্রচারের লক্ষ্যে বিশ্বে এই দিবসটির তাৎপর্য ও গুরুত্ব অপরিসীম। প্রকৃতিতে অনায়াসে বেড়ে উঠা বাঁশের ভেতরের অংশ খাদ্য হিসেবে আমরা খুব সহজেই গ্রহণ করতে পারি। বিশেষ করে উপরের ইমেজটি আমার গ্রামের উঠনের একটি অংশে অনেকখানি বিস্তৃত জায়গা নিয়ে বিদ্যমান। শুধু সবজি তৈরীতে নয় বিভিন্ন প্রকার খাবারের অংশ হিসেবেও আমরা এর ব্যবহার উপকরণ নিশ্চিত করতে পারি। শারীরিক সুস্থতার অংশ হিসেবে বাঁশ খুবই উপকারী। বিভিন্ন প্রকার রোগ থেকে নিরাময়ের ক্ষেত্রেও এর কার্যকারিতা অপরিসীম। নিম্নোক্তভাবে আমরা বিশ্লেষণ পূর্বক অনেক সহজে ধারণা পেতে পারি-
সংগৃহীতঃ প্রতীকী ছবি
বাঁশের ভিতরের অংশ দিয়ে সালাদ থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্যুপ রান্না করা যেতে পারে। তবে পাহাড়ি অঞ্চলে কিন্তু এই বাঁশই খাওয়া হয়। স্থানীয় উপায়ে রান্না করা বাঁশ কোড়ল খেতে যেমন সুস্বাদু তেমন শরীরের জন্যও উপকারী। দৈহিক সুস্থতায় বাঁশ বেশ উপকারী। বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি মেলাতে এর কার্যকারিতা অপরিসীম। এই বাঁশের কোড়লকে চিনারা বলে থাকেন ‘স্বাস্থ্যকর খাবারের রাজা’।
বাঁশের কোড়ল হল বাঁশের অঙ্কুরোদগম হবার পর ৪ থেকে ৬ ইঞ্চি পর্যন্ত বড় হওয়া পর্যন্ত কচি বাঁশ যা এশিয়া মহাদেশে সুস্বাদু খাবার হিসাবে জনপ্রিয়। একে ইংরেজিতে 'Bembo Suits' হয়। সারা পৃথিবী জুড়েই বাঁশ কোড়লের কদর বহু জাতির মধ্যে রয়েছে। পাহাড়ি জনজাতির নিত্যদিনের খাবারের তালিকায় এটি দেখা যায়।
আপনি রান্না করা বেম্বো শ্যুটস মাখন এবং সয়া সসের সঙ্গে মিশিয়ে সবজির সাথেও পরিবেশন করতে পারেন। এতে আপনার খাবারের স্বাদ বেড়ে যাবে। বেম্বো শ্যুটস স্যুপ, স্টু, সালাদ এবং গ্রেভি তৈরিতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এর পাশাপাশি আচার তৈরিতেও ব্যবহার করা হয় বাঁশ। বাজার থেকে সহজেই এর আচার কিনতে পারবেন।
পুষ্টিগুণে এর চাহিদা
সংগৃহীতঃ প্রতীকী ছবি
তাজা বাঁশের কোড়ল প্রায় ২ সপ্তাহের জন্য ফ্রিজে রাখা যেতে পারে। এটি সূর্যালোক থেকে দূরে রাখা হয় যাতে এর স্বাদ তেতো না হয়।তবে খেয়াল রাখবেন, আপনি কখনই বাঁশ কাঁচা খাওয়ার চেষ্টা করবেন না কারণ এতে পেটের সমস্যা হতে পারে। সবুজ বাঁশের ডালের ভেতরের অংশ অর্থাৎ বাঁশ কোড়ল অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা দেয়। আসুন জেনে নিই, কীভাবে এটিকে খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যায়। এক কাপ রান্না করা বাঁশের মধ্যে ২ গ্রাম ফাইবার, ৫ গ্রাম প্রোটিন, ৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৫৩৩ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম, ৯১ মিলিগ্রাম ভিটামিন ই, ৩১ মিলিগ্রাম আয়রন পাওয়া যায়।
- উচ্চ ফাইবার থাকায় ওজন কমাতে বাঁশ বেশ কার্যকর। এটি খাওয়ার পর দীর্ঘক্ষণ খিদে লাগে না এবং ফুড ইন্টেক কম হয়।
- খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে বাঁশকে কার্যকর বলে মনে করা হয়। এতে হার্টের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
- হজম ভালো রাখতে বাঁশও খাওয়া যেতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন, এমন রোগীর জন্য বিশেষ করে বাঁশ খাওয়া উচিত।
- শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও বাঁশের ভালো প্রভাব দেখা যায়।
মানব কল্যাণে এর ব্যবহার
সংগৃহীতঃ প্রতীকী ছবি
একটি কাষ্ঠল চিরহরিৎ উদ্ভিদ হলো বনজ উদ্ভিদ বাঁশ। ঘরবাড়ি ও আসবাবপত্র তৈরি, মৃত ব্যক্তির কবরে ও সৎকারে, বিভিন্ন প্রকার বিজ্ঞাপন, প্যান্ডেল ইত্যাদির ক্ষেত্রে এটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
প্রিয় পাঠক, আমরা আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে বাঁশের জীবন প্রকৃতি, দৈনন্দিন খাদ্য প্রণালীতে বাঁশের ব্যবহার, মানব কল্যাণে বাঁশের গুনাগুন সম্পর্কে বিস্তারিত জানলাম। আজকের এই আর্টিকেলটির প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
আলোকবর্ষ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুণ। প্রীতিটি কমেন্ট রিভিও করা হয়।
comment url