পলাশী দিবস কত তারিখ-পলাশী দিবস কত সালে
পলাশী দিবস কত তারিখ তা নিচে তুলে ধরা হবে। পলাশীর যুদ্ধ ঐতিহাসিক একটি ঘটনা, যা ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। বক্ষমান আর্টিকেলটিতে পলাশী যুদ্ধ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হবে। পলাশী দিবস কত তারিখ সে সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হবে। আসুন দেখে নেয়া যাক,পলাশী দিবস কত তারিখ।
পলাশী দিবস কত তারিখ
পলাশীর যুদ্ধ একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। আর এই কারণে পলাশীর যুদ্ধ সম্পর্কে বিভিন্ন পরীক্ষায় প্রশ্ন করা হয়। এই আর্টিকেলটি করলে আপনি পলাশী দিবস কত তারিখ, সে বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। তো চলুন দেখে নেয়া যাক পলাশী দিবস কত তারিখ? সে সম্পর্কে বিস্তারিত।
পলাশী দিবস কত তারিখ? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর হলো: ২৩ জুন। পলাশী দিবস কত তারিখ, আশা করি সেই প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানতে পারলেন। নিচে পলাশী দিবস কত সালে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হবে এবং পলাশী দিবস রচনা তুলে ধরা হবে। এর পাশাপাশি নিচে, ঐতিহাসিক পলাশী দিবস আজ, সে সম্পর্কে নিজেই বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
পলাশী দিবস কত সালে
পলাশী দিবস কত তারিখ তাই তো মধ্যেই উপরে তুলে ধরা হয়েছে। আর্টিকেল এই অংশে, পলাশী দিবস কত সালে, সেই প্রশ্নের সঠিক উত্তর তুলে ধরা হবে। তাই আপনি যদি মনোযোগের সহিত আর্টিকেলের এই অংশটি পড়েন তাহলে জানতে পারবেন, পলাশী দিবস কত সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। পলাশী দিবস কত সালে? সে প্রশ্নের উত্তর নিচে তুলে ধরা হলো।
আরো পড়ুন: বিশ্ব শিশু দিবস কবে - বিশ্ব শিশু দিবস ২০২৩
পলাশী দিবস কত সালে? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর হলো: ১৭৫৭ সালে। অর্থাৎ ১৯৫৭ সালের ২৩ শে জুন পলাশীর প্রান্তরে পলাশীর যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। পলাশী দিবস কত সালে, আশা করি আপনি সেই প্রশ্নের সঠিক উত্তর পেয়েছেন। নিচে ঐতিহাসিক পলাশী দিবস আজ এবং পলাশী দিবস রচনা তুলে ধরা হবে। তো পলাশীর যুদ্ধে কত সাজেশন গঠিত হয়েছিল এবং পলাশী দিবস কত তারিখ আশা করি এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর পেয়েছেন।
পলাশী দিবস রচনা
পলাশী দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন পলাশী দিবস রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে। সেই সকল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে চাইলে, পলাশী দিবস রচনা তৈরি করার মত যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। এছাড়াও একাডেমিক পরীক্ষাগুলোতেও কখনো কখনো, পলাশী দিবস রচনা লিখতে বলা হয়। আপনি যদি, পলাশী দিবস রচনা লিখতে চান সেক্ষেত্রে নিম্ন বর্ণিত, পলাশী দিবস রচনা আপনার অনেক উপকারে আসবে। পলাশী দিবস রচনা নিচে তুলে ধরা হলো।
ভূমিকা: পলাশীর যুদ্ধ অন্যান্য সাধারণ যুদ্ধের মত কোন যুদ্ধ নয়। পলাশীর যুদ্ধ খুবই মর্মান্তিক। পলাশীর যুদ্ধে, নবাব সিরাজউদ্দৌলা পরাজয় বরণ করার কারণে ভারতীয় উপমহাদেশ, তাদের স্বাধীনতা হারায়। আর এ কারণেই পলাশীর যুদ্ধের ইতিহাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পলাশীর যুদ্ধ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে জানা সম্ভব নয়।
পলাশীর যুদ্ধের প্রেক্ষাপট: পলাশীর যুদ্ধকে যুদ্ধ না বলে, পূর্ব নির্ধারিত নাটকের মঞ্চ বলা যেতে পারে। কেননা, পলাশীর যুদ্ধে নবাব সিরাজউদ্দৌলার সেনাপতি মীরজাফর মূলত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সাথে হাত মিলিয়ে ছিল, যার ফলে বন্ধুত্বের ময়দানে কি হবে না হবে সে বিষয়গুলো সম্পর্কে সে ইংরেজদের সাথে পরামর্শ গ্রহণ করেছিল।
আর সে কারণেই, ইংরেজদের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি সৈন্যবাহিনী থাকার পরেও সেই যুদ্ধে নবাব সিরাজউদ্দৌলা জয়লাভ করতে পারেনি। কেননা সেনাবাহিনী সাধারণত, সেনাপতির কথা অনুসরণ করে থাকে যেহেতু সেনাপতি যুদ্ধ বন্ধের আদেশ দিয়েছিলেন সে কারণে অধিকাংশ সেনা সদস্য যুদ্ধ বন্ধ করে দেয়। যার ফলে, নবাব সিরাজউদ্দৌলা সেই যুদ্ধে পরাজিত হয়।
সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের মূল কারণ হলো, মীরজাফরের ষড়যন্ত্র। শুধু মীরজাফর নয় এই ষড়যন্ত্রের পিছনে আরও অনেকের হাত ছিল। তাদের মধ্যে অন্যতম কয়েকজন হলো: জগৎ শেঠ, ইয়ার লতিফ, ঘসেটি বেগম এবং মাহতাব চাঁদ প্রমুখ। অর্থাৎ প্রাসাদের শত্রুর কারণেই মূলত, নবাব সিরাজউদ্দৌলা পরাজিত হয়েছিলেন।
"ঘরের শত্রু বিভীষণ" ঘরের শত্রু বরাবরই সবচেয়ে ভয়ংকর হয়ে থাকে। তার সাথে ভিতর গোপনে গোপনে সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে যারা, ষড়যন্ত্র করেছিল তারা কিন্তু খুব বেশিদিন ইংরেজ সরকারের আস্থাভাজন থাকতে পারেনি। ব্যবহারের পরে ক্রমান্বয়ে তাদেরকে ইংরেজ সরকার ক্ষমতার যুদ্ধ করে।
পলাশীর যুদ্ধের ফলাফল: পলাশীর যুদ্ধের ফলে, ভিনদেশী ইংরেজরা ভারতীয় উপমহাদেশের উপর শাসন করার ক্ষমতা লাভ করে। আর এ কারণে ভারতীয় উপমহাদেশের যাবতীয় সম্পদ আস্তে আস্তে তারা পাচার করতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, ঐতিহ্যবাহী কোহিনুর মুকুট পর্যন্ত তারা নিজেদের দেশে বাজার করে দেয়।
ভারতীয় উপমহাদেশের সকল সম্পদ, নিজেদের দেশে প্রেরণ করার মাধ্যমে তারা শিল্প বিপ্লব সাধন করেছিল এবং বিশ্বের বুকে উন্নত দেশ হিসেবে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছিল। এই দেশের জনগণ এবং ভূমির প্রতি তাদের কোনরূপ, মায়া মমতা কিংবা টান ছিল না। তারা শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থ পূরণ করার জন্য এই উপমহাদেশকে এবং এর জনগণকে ব্যবহার করেছে।
শুধু তাই নয় ইংরেজদের শাসন আমলে কৃষকরা নিজেদের ইচ্ছামত প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের চাষাবাদ করতে পারত না। ইংরেজরা তাদেরকে যেই ফসল চাষ করতে বলতো সেই ফসল চাষ করা তাদের জন্য ছিল বাধ্যতামূলক এর বিরুদ্ধাচরণ করলে বিচারের মুখোমুখি করা হতো। অধিকাংশ কৃষকদের দ্বারা ইংরেজরা স্বল্প খরচে নীল চাষ করাতো। আর বহিরবিশ্বে উপমহাদেশে উৎপাদিত নীল চড়া দামে বিক্রি করতো।
উপসংহার: সুতরাং এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে পলাশীর যুদ্ধের ফলে ভারতীয় উপমহাদেশ কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অর্থনৈতিক ক্ষতির পাশাপাশি ইংরেজরা ক্ষমতায় থাকার কারণে ভাষা এবং সংস্কৃতির ক্ষেত্রেও তা আগ্রাসন চালিয়েছে। আর সে কারণেই, স্বাধীনতার এত বছর পরে এসেও ভারতীয় উপমহাদেশে ইংরেজ সংস্কৃতির প্রভাব বিদ্যমান। ইংরেজরা এই উপমহাদেশ থেকে বিদায় নিয়েছে ঠিকই কিন্তু তারা এই জাতিকে বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে গিয়েছে।
শুধু তাই নয়, ভারতীয় উপমহাদেশ কে তারা এমনভাবে বিভক্ত করে দিয়ে গিয়েছে যে ভারতীয় উপমহাদেশের জনগণ জনক কখনোই শান্তি-শৃঙ্খলভাবে একত্রে বসবাস করতে না পারে। এক কথায় পলাশীর যুদ্ধের কারণে উপমহাদেশ অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
আর্টিকেলটির প্রথম অংশে পলাশী দিবস কত তারিখ এবং পলাশী দিবস কত সালে, সেই প্রশ্নগুলোর উত্তর তুলে ধরা হয়েছে। নিচে ঐতিহাসিক পলাশী দিবস আজ সে বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। ঐতিহাসিক পলাশী দিবস আজ, তাই পলাশী দিবস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলটি পড়ুন।
ঐতিহাসিক পলাশী দিবস আজ
ঐতিহাসিক পলাশী দিবস আজ। প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরে ও যথাযথ আনুষ্ঠানিকতা ও মর্যাদার সহিত পালন করা হচ্ছে পলাশী দিবস। ঐতিহাসিক পলাশী দিবস আজ, এই উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এছাড়াও, ঐতিহাসিক পলাশী দিবস আজ, এই উপলক্ষে সরকারি এবং বেসরকারি টেলিভিশনগুলো পলাশী দিবসের সম্পর্কিত বিভিন্ন অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে।
আরো পড়ুন: জাতীয় যুব দিবস কবে - জাতীয় যুব দিবস ২০২৩
যেহেতু, ঐতিহাসিক পলাশী দিবস আজ, তাই আপনি যদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লক্ষ্য রাখেন তাহলে দেখতে পাবেন যে ঐতিহাসিক পলাশী দিবস সম্পর্কে বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন ধরনের পোস্ট করেছে কিংবা ভিডিও তৈরি করেছে।
ঐতিহাসিক পলাশী দিবস: শেষ কথা
পলাশী দিবস কত তারিখ, এই প্রশ্নের উত্তর ইতোমধ্যেই উপরে তুলে ধরা হয়েছে। সেই সাথে এই আর্টিকেলটিতে পলাশী দিবসের সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হয়েছে। তাই আপনি যদি পুরো আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই পলাশী দিবস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। এই আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগে থাকলে সকলের সাথে শেয়ার করবেন। ১৬৪১৩
আলোকবর্ষ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুণ। প্রীতিটি কমেন্ট রিভিও করা হয়।
comment url